করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় আট মাস বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অভিভাবকদের পেশা পরিবর্তনের কারণে ঢাকা ছেড়ে অনেক শিক্ষার্থী গ্রামে ফিরে গেছে। আবার দীর্ঘদিন শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা কর্মমুখী কাজ বেছে নিয়েছে। এছাড়া গ্রাম পর্যায়ে অনেক নারী শিক্ষার্থীকে বাল্যবিয়ে দিয়েছে তার পরিবার।
বাংলাদেশ তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইজ) এর তথ্য অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়, কারিগরি, মাদ্রাসা, কলেজিয়েট স্কুল ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুল মিলিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম পর্যন্ত ১ কেটি ২৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩৬ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। তন্মোধ্য নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৮ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫১জন। অর্থাৎ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫৩ ভাগের বেশি নারী শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, নিঃসন্দেহে বলা যায় করোনার কারণে এবার অনেক বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ছিটকে পড়বে। এ সংখ্যা শতকরা ৪০ ভাগের উপরেও যেতে পারে। এর ফলে প্রায় ৬০ লাখ শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরিয়েই ড্রপ আউট হতে পারে।
তিনি আরো জানান, এ থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নারী শিক্ষার্থীরা। ২০০৮ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো শতকরা ৬১ জনেরও বেশি। সরকারি পদক্ষেপ, উপবৃত্তির কারণে এ সংখ্যা কমে ৩৬ এ নেমে এসেছিলো।